Understanding The Arab World Through The Eyes Of Naguib Mahfouz
One can consider Egypt a window to see the Arab World where people have fought against British Imperialism, terrorism and Islamic fundamentalism for more than a century. The struggle has helped transform the attitude of people, living there, towards life, and also their social, political and cultural views. Naguib Mahfouz Abdelaziz Ibrahim Ahmed Al-Basha (popularly known as Naguib Mahfouz; December 11, 1911 – August 30, 2006), an Egyptian novelist who won the 1988 Nobel Prize in Literature, portrayed this transformation through The Cairo Trilogy, the three novels – Palace Walk (1956), Palace of Desire (1957) and Sugar Street (1957) – penned by him.
In these novels, Mahfouz narrated how Cairo had gone through a critical political phase in the first half of the 20th Century. They tell the story of three generations of a family who dealt with the morals, hypocrisy, religious conservatism, confusion and disorientation at a time when the transition in Arab society prompted the middle-class to opt for a different path, especially in Egypt.
Al-Sayyid (or Ahmad ‘Abd al-Jawad), the head of the family, was an authoritarian community leader who used to run his family with a firm approach while leading a secretive and hypocritical personal life. Al-Sayyid did not hesitate to almost abandon his obedient wife Amina for going out of the house with their son without his permission. Again, this patriarchal character used to spend quality time with ballerinas in the evening.
However, the helpless Al-Sayyid experienced the tragic death of one of his three sons at the end of his life. While the second one became a lumpen, the third son moved beyond his domination to become an atheist. Al-Sayyid further witnessed the clash of ideologies as one of his grandsons became an Islamic fundamentalist, while the other joined the Communist Party.
The vast period of time was associated not only with various characters, but also with the evolution of socio-political trends, faith, distrust, power and its decline. Mahfouz was a quite strong, as well as courageous, author who probably narrated the transformation of his own life in The Cairo Trilogy. The author, brought up under the guidance of an authoritarian father in a medieval society, spent his childhood in the alleys of Cairo’s Old City.
Mahfouz was stabbed in the neck by a radical Islamist in 1994 while he was on his way to a weekly cafe meetup in Cairo. The attacker, a member of al-Gamaa al-Islamiyah, carried out the attack upon the incitement of the Blind Sheikh, Omar Abdel-Rahman. Although Mahfouz survived the attack, he struggled to write effectively for the rest of his life. At the age of 83, the author realised that the younger generation was heading into the wrong direction.
During most chit-chatting, the followers of Islam are considered as a less progressed religious community in the contemporary world. However, the Muslim community are actively engaged in combating radicalism and extremism within their ranks. The pioneers of Muslim society in the modern era may be few in number, but they are the unsung heroes. One still has a lot to learn from personalities, like Naguib Mahfouz.
Translated by Koushik Das from the original Bengali article authored by Dr Madhusree Bandyopadhyay. Dr Bandyopadhyay is a former Associate Professor of Chemical Engineering at Jadavpur University, Kolkata, India. She has spent a long time abroad for professional purposes. Her favourite subjects are Science and Technology, History, Genetics and Social Studies on which Dr Bandyopadhyay has penned a number of books.
জানালার ফাঁকে আরব দুনিয়া
বিগত একশ বছরের মিশরের ইতিহাস জানতে চান? মিশর যেন আরব দুনিয়াকে জানবার এক জানালা। জানতে ইচ্ছে করে, ইসলামিক মৌলবাদ এবং ওই দুনিয়ার গণতান্ত্রিক মানুষের লড়াইয়ের কথা? বুঝতে চান সেই দেশগুলোর মানুষের মেজাজ-মানসিকতা এবং তার সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক রূপান্তর! তাহলে পড়তে হবে এক মহাকাব্য। সেই মহাকাব্য, দ্য কায়রো ট্রিলজি, লিখেছেন এই যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক, আরব দুনিয়ার একমাত্র নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক, মিশরের নাগুইব মাহফুজ।
বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে আরব সমাজের সংকটপূর্ণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কায়রো শহরকে কেন্দ্র করে মাহফুজ এই উপন্যাস রচনা করেছেন। তিন খণ্ডে বিভক্ত এই উপন্যাসের কেন্দ্রে আছে একটি পরিবারের তিনটি প্রজন্ম এবং মিশরের আরব সমাজের সেই ক্রান্তিকালীন সময়ে মধ্যবিত্ত সমাজের নৈতিকতা ও ভণ্ডামি, ধর্মীয় রক্ষনশীলতা ও বিভ্রান্তি, দিশাহীনতা ও শেষে বিভিন্ন পৃথক গতিপথের ইঙ্গিত।
বাড়ির কর্তা এক স্বৈরতন্ত্রী গোষ্ঠীপতি। একদিকে কঠোরভাবে সংসার শাসন করেন এবং অন্যদিকে চলে গোপন কপট জীবনযাপন—দুই সমান্তরাল জীবন দাপটের সঙ্গে তিনি চালান। তিনি বসে আছেন আরাম কেদারায়, আর ভীরু স্ত্রী পদতলে হাঁটুমুড়ে বসে থাকেন। তাঁর অনুমোদনের অপেক্ষা না করে পুত্রের সঙ্গে বাড়ির বাইরে যাওয়ার শাস্তিস্বরূপ স্ত্রীকে প্রায় পরিত্যাগ করেন। আবার এই ব্যক্তিই সান্ধ্য অবসর বিনোদন করেন নটী পরিবেষ্ঠিত হয়ে।
জীবন প্রান্তে এসে অসহায়ভাবে দেখেন এক পুত্রের ট্র্যাজিক মৃত্যু, অন্যজনের চরিত্রহীনতা৷ তৃতীয় পুত্র প্রথমে আত্মানুসন্ধানী, পরে দিশাহীন ও অবশেষে নিরীশ্বরবাদী৷ প্রত্যক্ষ করেন তৃতীয় প্রজন্মের মতাদর্শের সংঘাত—এক পৌত্র ইসলামিক মৌলবাদী অন্যজন কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। বিভিন্ন চরিত্রের সঙ্গে যুক্ত এই বিশাল সময়ে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন ধারার ক্রমবিবর্তন, বিশ্বাস ও বিশ্বাসহীনতা, ক্ষমতা ও তার ক্ষয় এক মহাকাব্যিক ঢঙে, নির্লিপ্তভাবে পাশাপাশি অবস্থান করছে।
মাহফুজ একই সঙ্গে অতীব শক্তিমান ও সাহসী লেখক। নিজের জীবনকেই যেন তিনি রূপ দিয়েছেন এই উপন্যাসে। কায়রোর পুরানো শহরের অলিগলিতে কেটেছে তার শৈশব। লেখক তাঁর জীবনের প্রথম বছরগুলি মধ্যযুগীয় পরিবেশে কাটিয়েছেন, যেখানে ছিল সরু গলি, ঝুলন্ত বারান্দা আর কর্তৃত্ববাদী বাবা।
১৯৯৪ সালে মাহফুজকে একজন মৌলবাদী ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করে। কায়রো শহরের একটি ক্যাফেতে সাপ্তাহিক সভায় যাবার সময়ে এই আক্রমণ ঘটে। তিনি আক্রমণ থেকে বেঁচে যান কিন্তু তার ডান বাহুর স্নায়ু স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে পরে তাঁর পক্ষে লেখা কঠিন হয়ে পড়ে। জঙ্গি ইসলামী আন্দোলন আল-গামা আল-ইসলামিয়ার সঙ্গে যুক্ত একজন চরমপন্থী এই আক্রমণ চালিয়েছিল। তখন তাঁর বয়স ৮৩। মাহফুজ তাঁর শেষ জীবনে হয়তো বুঝে গেছিলেন নতুন প্রজন্মের গতিপথ কোন দিকে।
আজকে অনেক জায়গাতে আলোচনাতে সমগ্র মুসলমান সমাজকেই যেন এক জমাট অন্ধকার হিসেবে দেখা হয়। অথচ তাদের সমাজের মধ্যে এই লড়াই কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলেছে। এদের সংগ্রামের কথা আমরা জানি না, উপমহাদেশে আলোচিতও হয় না। মনে করি, আধুনিক যুগে মুসলিম সমাজের এই অগ্রপথিকরা সংখ্যায় কম হতে পারেন, তবে তাঁরা যেন মহীরুহতুল্য।
তাঁরা আমাদেরও ছায়া দিতে পারেন।
মধুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় (April 24, 2025)
Boundless Ocean of Politics on Facebook
Boundless Ocean of Politics on Twitter
Boundless Ocean of Politics on Linkedin
Contact us: kousdas@gmail.com
ISMC
Boundless Ocean Of Politics 